'অপারেশ সিঁদুরের পর ভোকাল ফর লোকাল নতুন উৎসাহ পেয়েছে।' ভারতীয়দের তুরস্ক বয়কটের মাঝে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন যখন বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ ভারতের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল, তখন তুরস্ক সমর্থন করেছিল পাকিস্তানকে। এর জেরেই এবার সে দেশে ভ্রমণ বাতিল করছেন বহু ভারতীয় পর্যটক।এই আবহে মাসিক রেডিও অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’-তে প্রধানমন্ত্রীর দেশীয় উৎপাদনকে নতুন করে উৎসাহ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন-'তুমি কেন মরো না!' স্বামীর প্ররোচনায় আত্মঘাতী উত্তরপ্রদেশের তরুণী, রেকর্ড ভিডিও
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, 'সিঁদুর অভিযানের পর দেশজুড়ে 'ভোকাল ফর লোকাল'-এর প্রতি উৎসাহের এক নতুন ঢেউ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দেশপ্রেমের অনুভূতি নতুন করে জেগে উঠেছে।কিছু ঘটনা সত্যিই হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। কয়েকটি পরিবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে 'আমরা আমাদের পরবর্তী ছুটি দেশেরই একটি সুন্দর জায়গায় কাটাব'। অনেক তরুণ-তরুণী 'ভারতে বিয়ে' করার সংকল্প নিয়েছে। তারা দেশেই বিয়ে করবে।' দেশজুড়ে এক নতুন উদ্যমের কথা উল্লেখ করে মোদী বলেন, এই অভিযান কেবল দেশপ্রেমকেই অনুপ্রাণিত করেনি বরং আত্মনির্ভরতার চেতনাকেও শক্তিশালী করেছে। তাঁর কথায়, 'এই বিজয় আমাদের প্রকৌশলী, প্রযুক্তিবিদ এবং প্রতিটি অবদানকারী নাগরিকের ঘামের ফসল।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অভিযানের পর সারা দেশে দেশপ্রেম ও তিরঙ্গার প্রতি আবেগ আরও জোরদার হয়েছে। দেশের শহর, গ্রাম ও মফস্বলে তিরঙ্গা যাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে সাধারণ মানুষ সশস্ত্র বাহিনীর সম্মানে পতাকা হাতে রাস্তায় নেমেছেন।তিনি আরও বলেন, 'অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন জন্ম নেওয়া শিশুদের নাম বিহারের কাটিহার এবং উত্তরপ্রদেশের কুশীনগর-সহ বিভিন্ন জায়গায় ‘সিঁদুর’ রাখা হয়েছে, যা এই অভিযানের প্রতি মানুষের আবেগের প্রতিফলন।' ‘অপারেশন সিঁদুর’-কে প্রধানমন্ত্রী ভারতের সাহস এবং বিকাশের প্রতীক বলেও অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুরের সময়ে আমাদের বাহিনী যে বীরত্বের পরিচয় দিয়েছে তা প্রত্যেক ভারতীয়কে গর্বিত করেছে। সীমান্তের ওই পারে সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি ধ্বংস করার ক্ষেত্রে আমাদের বাহিনী যে নির্ভুলতার সঙ্গে কাজ করেছে তা এক কথায় অসাধারণ। অপারেশন সিন্দুর বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নতুন আত্মবিশ্বাস এবং উৎসাহ জুগিয়েছে।’
আরও পড়ুন-‘অপারেশন সিঁদুর শুধু সামরিক অভিযানই নয়…’, ‘মন কি বাত’-এ জোরালো বার্তা মোদীর
অপারেশন সিঁদুরের সময়, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী বেশ কয়েকটি দেশীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করেছিল। সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটিতে নির্ভুল হামলার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল ইজরায়েলের সহযোগিতায় তৈরি ‘স্কাইস্ট্রাইকার লয়টারিং অ্যামিউনেশন’। পাক হামলা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ছিল আকাশ সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম এবং আকাশতীর এয়ার ডিফেন্স কন্ট্রোল অ্যান্ড রিপোর্টিং সিস্টেম। এছাড়া, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর মোতায়েন করা হয়েছিল টি-৭২ ব্যাটল ট্যাঙ্ক।