আমেরিকায় ফের একবার বন্দুকবাজের হামলার ঘটনা ঘটল। বিগত বছরগুলিতে মার্কিন মুলুকে বন্দুকবাজদের হামলার ঘটনা বেড়েই চলেছে। এমনকী ২০২৪ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী থাকাকালীন ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপরে পর্যন্ত বন্দুকবাজের হামলা হয়েছিল। আর এবার ঘটনাটি ঘটল পেনসিলভিনিয়া প্রদেশে। এই ঘটনায় এক পুলিশ আধিকারিকের মৃত্যু হয়েছ বলে জানা গিয়েছে। এদিকে ঘটনায় বন্দুবাজেরও মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাটি ঘটেছে ইয়র্কে অবস্থিত ইউপিএমসি মেমোরিয়াল হাসপাতালে। এদিকে হাসপাতালে এই হামলার ঘটনা ঘটলেও সেখানকার কোনও রোগী এর জেরে মারা যাননি বলে নিশ্চিত করেছে প্রশাসন।
জানা যায়, এক দুষ্কৃতী বন্দুক হাতে নিয়ে ইউপিএমসি মেমোরিয়াল হাসপাতালে প্রবেশ করেছিল। এরপর সে সটান আইসিইউ-তে চলে যায়। সেখানে কর্মরত হাসপাতাল কর্মীদের সে বন্দি বানিয়ে ফেলে বন্দুক দেখিয়ে। পরে সেই বন্দুকবাজকে খতম করা হয় বলে জানায় পুলিশ। এই ঘটনা প্রসঙ্গে ইয়র্ক কাউন্টির অ্যাটর্নি টিম বেকার জানান, হামলাকারী বন্দুকবাজের সঙ্গে একটি ব্যাগ ছিল। তাতে বন্দুক এবং 'জিপ টাই' ছিল। আইসিইউ-তে তিন কর্মীকে সে আঘাত করেছিল। জখম ব্যক্তিদের মধ্যে এক ডাক্তার এবং এক নার্সও আছেন।
সেই বন্দুকবাজের হামলার ঘটনা পুলিশকে জানানো হয় তৎক্ষণাত। এরপর টহলরত এক পুলিশ অফিসার সেখানে গিয়ে বন্দুকবাজকে আটক করার চেষ্টা করলে প্রাণ হারান। এদিকে সেই সময় আরও দু'জন জখম হয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত সেই বন্দুকবাজকে খতম করে পুলিশ। এদিকে এই ঘটনার পরে হাসপাতালের জনসংযোগ দফতরের ভাইস প্রেসিডেন্ট সুজান মাঙ্কো বলেন, 'বর্তমানে হাসপাতালটি সুরক্ষিত আছে। পুলিশ এসেছে। তারা ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখছেন। তদন্ত করছেন।' এদিকে পেনসিলভিনিয়ার গভর্নর জর্জ শ্যাপিরো এই হামলার ঘটনা শুনে নিজে সেই হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন।
উল্লেখ্য, ৪০ হাজার বাসিন্দার শহর ইয়র্ক। ২০১৯ সালে সেখানে চালু হয়েছিল এই ইউপিএমসি মেমোরিয়াল হাসপাতাল। এদিকে সেই হাসপাতালে শুটআউট চলাকালীন স্থানীয়দের কাছে 'অ্যালার্ট' গিয়েছিল এই ঘটনার। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই অযালার্টের ছবি পোস্ট করে নিজেদের উদ্বেগের বিষয়টি ব্যক্ত করেছিলেন। উল্লেখ্য, আমেরিকায় বিভিন্ন সময়ে বন্দুকবাজের হামলার অনেক মানুষের মৃত্যু হয়। কখনও সিনেমা হল, শপিং মল তো কখনও স্কুল বা রাস্তায় এই ধরনের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনা থামাতে ডেমোক্র্যাট সরকার বন্দুক বিক্রি নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছিল। তবে রিপাবলিকানরা আবার বন্দুক নিয়ন্ত্রেণর ঘোর বিরোধী।