গত বছর ইউজিসি-নেট -এর প্রশ্নপত্র ফাঁসের যে অভিযোগ উঠেছিল, সেই ঘটনায় তদন্ত প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিল সিবিআই। বৃহস্পতিবার তাদের পক্ষ থেকে একথা জানিয়ে দেওয়া হয়।
একইসঙ্গে এদিন সিবিআই-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা কোনও ষড়যন্ত্র এবং সাংগঠনিকভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনও হদিশ পায়নি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের বক্তব্য, কোনও এক তরুণ ছাত্র স্রেফ টাকা কামানোর লোভে বিকৃত প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছিলেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের জুন মাসে হঠাৎই ইউজিসি-নেট বাতিল হয়ে যায়। অভিযোগ উঠেছিল, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছে। দাবি করা হয়েছিল, ডার্কনেট এবং টেলিগ্রামে মোটা টাকার বিনিময়ে ওই প্রশ্নপত্র পাওয়া যাচ্ছে।
এই ঘটনার তদন্তভার তাদের হাতে যাওয়ার পরদিনই একটি এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। এবার সেই তদন্ত বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানাল তারা।
এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিবিআই আধিকারিক জানান, 'আমরা আমাদের তদন্তে জানতে পেরেছি, গত ১৮ জুন যে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল, সেই পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের যে স্ক্রিনশট ফাঁস করা হয়েছিল (বলে দাবি করা হয়), সেটি আসলে একটি বিকৃত নথি। যা কোনও এক ছাত্র স্রেফ টাকার লোভে ফাঁস করেছিলেন।'
ওই সিবিআই আধিকারিক আরও জানান, 'পরীক্ষার আগের দিন বিকেলে বিভিন্ন টেলিগ্রাম চ্যানেলে এই বিকৃত প্রশ্নপত্র ফাঁস করা হয়।' গোয়েন্দাদের প্রথমিক অনুমান ছিল, যে ব্যক্তি এই কাজ করেছিলেন, তিনি হয়তো কোনওভাবে ওই নথি পর্যন্ত পৌঁছতে পেরেছিলেন।
কিন্তু, তদন্তে বোঝা যায়, ওই ছাত্র কোনও একটি মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে প্রশ্নপত্রের ছবি এবং সেই দিনের তারিখ ও টাইম স্ট্য়াম্প মিলিয়ে দিয়েছিলেন। যাতে সকলেরই মনে হয়, তিনি আসল প্রশ্নপত্র পর্যন্ত পৌঁছতে পারেন। সেই 'অ্য়াক্সেস' তাঁর রয়েছে। পরীক্ষার আগে এই ঘটনা ঘটায় স্বাভাবিকভাবেই তা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়।
সিবিআই-এর আরও এক আধিকারিক এই ঘটনায় তাদের তদন্ত বন্ধ করার কথা স্বীকার করেছেন। তিনিও নিজের নাম ও পরিচয় প্রকাশ্য়ে আনতে চাননি।
ওই সিবিআই আধিকারিক জানান, 'আমরা তদন্তে এমন কোনও প্রশ্নপত্র ফাঁস কিংবা ষড়যন্ত্রের হদিশ পাইনি বা প্রমাণ পাইনি, যা থেকে পরীক্ষায় বসা কোনও পরীক্ষার্থী লাভবান হতে পারেন। তাই আমরা কেস ক্লোজড করছি।' সিবিআই ইতিমধ্য়েই শিক্ষা মন্ত্রকের কাছে তাদের তদন্ত রিপোর্ট পাঠিয়ে দিয়েছে।