সুস্থ থাকার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি ভালো ঘুম হওয়াও জরুরি। কিন্তু, বর্তমানে টিভি, স্মার্টফোন এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক গ্যাজেটের ব্যবহার মানুষকে রাত জেগে থাকতে শিখিয়েছে। এ কারণে ঘুমের যথেষ্ট ব্যাঘাত ঘটছে। গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকার ফলে শরীরের সার্কেডিয়ান রিদম অর্থাৎ বডি ক্লক বিঘ্নিত হচ্ছে। এ ফলে মানুষ সহজেই মারাত্মক সব রোগের শিকার হচ্ছে। এই সব রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞরা সকলে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ভালো করে ঘুমানোর পরামর্শ দেন। এখন প্রশ্ন হল, রাতে ঘুমানোর সঠিক সময় কোনটি? ভালো ঘুমের ফলে কী কী লাভ হয়?
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের রিপোর্ট অনুযায়ী, একটি গবেষণা ২০২২ সালে দেখা গিয়েছিল যে রাত ১০টার মধ্যে ঘুমানো উচিত। এই গবেষণাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হয়েছিল। গবেষণাটি ৮৮০০০ জন প্রাপ্তবয়স্ককে নিয়ে করা হয়েছিল। তবে, আরও কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে রাত ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
আরও পড়ুন: এই ঘরোয়া পানীয় মোমের মতো পেটের মেদ গলাবে! পুজোয় পাবেন আকর্ষণীয় চেহারা
রাতে ঘুমানোর উপযুক্ত সময়
প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, সুস্থ থাকতে গেলে রাত ১০-১১টা পর্যন্ত ঘুমানো ভালো। তবে আপনার স্বাস্থ্য অনুযায়ী ঘুমের প্রয়োজনীয়তা ভিন্ন হতে পারে। শুধু তাই নয়, প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খেলেও বহু স্বাস্থ্য সংক্রান্ত উপকারিতা পাওয়া যায়। যদি খাওয়া, জল খাওয়া এবং ঘুমের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখেন তবে আপনার স্বাস্থ্য আরও ভালো থাকবে। এটি শরীরের বিভিন্ন কার্যকারিতাকে আরও উন্নত করবে।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ কাটতে গিয়ে চোখে জল! চোখের জন্য ক্ষতিকারক নয় তো? কীভাবে এড়াবেন জ্বালা ভাব রইল টিপস
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, বডি ক্লক ঘুমকে নিয়ন্ত্রণ করে। সূর্য অস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেহেও আসতে আসতে ক্লান্তি আসতে থাকে। মস্তিষ্ক সংকেত দেয় যে এটা ঘুমানোর সময়। সার্কাডিয়ান রিদম শুধু ঘুমই নয়, হরমোন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং হজমশক্তিও নিয়ন্ত্রণ করে।
সঠিক সময়ে ঘুমানোর উপকারিতা
১) সঠিক সময়ে ঘুম অ্যান্টি-বডির পরিমাণ বাড়ায়। এর ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
২) উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে।
৩) মানসিক চাপ কমে এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
৪) ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকলে ওজন বাড়তে পারে।
৫) স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তা করার ক্ষমতা উন্নত করে।
৬) তাড়াতাড়ি ঘুমালে রাগ কমে এবং মেজাজ ভালো থাকে।
৭) শরীর সঠিক বিশ্রাম পায়, যা ক্লান্তি দূর করে।
৮) ভালো ঘুম শুধু শরীরই নয়, মনকেও সুস্থ রাখে।