জাহ্নবী কাপুর ও ইশান খট্টর অভিনীত ২০১৮ সালের ছবি 'ধড়ক'-এর প্রায় ৭ বছর পর এর সিক্যুয়েল আসতে চলেছে। তবে এবার গল্পটি নতুন, স্কার কাস্ট সম্পূর্ণ তাজা এবং পরিচালকও পরিবর্তন করা হয়েছে। সম্পূর্ণ নতুন কলাকুশলীদের নিয়ে তৈরি হয়েছে এই ছবি, যা সম্প্রতি সেন্সর বোর্ড ছাড়পত্র দিয়েছে। জানা গিয়েছে, ১টি বা ২টি নয়, ১৬টি বড় পরিবর্তন করার পর ছবিটিকে সিবিএফসি কর্তৃক ইউ/এ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে।
কী কী বদল এল ধড়ক ২-তে?
জানা গিয়েছে যে, কিছু রাজনৈতিক সংলাপ, কিছু জাতপাত সম্পর্কিত সংলাপ রয়েছে ধড়ক২-তে, যা হয় কিছুটা লঘু করা হয়েছে, বা মিউট করা হয়েছে। কিছু হিংসাত্মক দৃশ্য পরিবর্তন করা হয়েছে, আবার কিছু দৃশ্য পরিবর্তন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি স্থগিতাদেশের পর অবশেষে সেন্সর বোর্ড থেকে সবুজ সংকেত পেল সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী ও তৃপ্তি দিমরি অভিনীত ছবি 'ধড়ক ২'।
সাজিয়া ইকবাল পরিচালিত এই সিক্যুয়েল সিনেমার মোশন পোস্টারটি বেশ পছন্দ করেছিলেন দর্শকরা। রাজনৈতিক ইঙ্গিত দেওয়া একটি সংলাপ পরিবর্তন করা হয়েছে, যাতে এটি কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত না হয়। কাস্ট নিয়ে বলা কথাগুলি হয় মিউট করা হয়েছে বা অন্য শব্দ লাগানো হয়েছে, যাতে কারও অনুভূতিতে আঘাত না লাগে। ছবিতে উচ্চারিত একটি লাইন, ‘ধর্ম কা কাম হ্যায়’ বদলে করা হয়েছে ‘পুণ্য কা কাম হ্যায়’।
তুলসীদাসের দোহা এবং এই গুরুত্বপূর্ণ সংলাপটি
তুলসীদাস জি-র একটি গান সিনেমায় ব্যবহৃত হয়েছিল, যা ডায়লগ দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। একইভাবে, আরেকটি লাইন রয়েছে যা বলে যে, ৭০ বছরেও ৩,০০০ বছরের পুরানো আবর্জনা সরানো যাবে না। 'মাত্র ৭০ বছরেও শত শত বছরের বৈষম্য দূর করা যাবে না'-এর মতো সংলাপ দিয়ে এই লাইনটি পরিবর্তন করা হয়েছে। অনুরূপ একটি দৃশ্য রয়েছে যেখানে একটি নীল কুকুর দেখানো হয়। কুকুরের রং বদলের পরামর্শ দিয়েছে সেন্সর বোর্ড। একটি চরিত্রের বাবাকে অপমান করার দৃশ্যটিতে ১৬ সেকেন্ডের একটি দীর্ঘ কাট দিয়েছে সিবিএফসি।
একজন নারীর সঙ্গে হওয়া কিছু অত্যাচেরর দৃশ্যে সেন্সর বোর্ডের তরফ থেকে ব্ল্যাক স্ক্রিন ব্যবহারের নির্দেশ এসেছে। ছবির শুরুতে ২০ সেকেন্ডের ডিসক্লেইমার বাড়িয়ে ১ মিনিট ৫১ সেকেন্ড করা হয়েছে এবং উচ্চস্বরে চালাতেও বলা হয়েছে। আর ফলত, সিনেমা নিয়ে উত্তেজনা আরও বাড়ছে। সঙ্গে দেখার যে, ছবিটি এতগুলো বদল আসার পর, দর্শকদের হৃদয়ে একই প্রভাব ফেলতে সক্ষম হবে কি না!