আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণীর মৃত্যুর পর কেটেছে পনেরো দিন। ঘটনার পরদিনই ধরা পড়েছিল এক অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। তারপর থেকেই সেভাবে এগোয়নি মামলার গতি। সিবিআই তদন্তভার হাতে পেলেও এখনও কোনও আশার বাণী শোনাতে পারেনি। আরও পড়ুন-‘এখান থেকে কী আর…’, চারিদিকে জল আর জল! মৃত্যু ২৪ জনের, ত্রিপুরার পাশে 'বং গাই' কিরণ
তদন্তে অগ্রগতি হচ্ছে না দেখে বারবার পথে নামছে শহর কলকাতা। দফায় দফায় চলছে মিছিল, অবস্থান বিক্ষোভ। রাজ্যে শেষ কবে এমন অরাজনৈতিক প্রতিবাদ দেখা মিলেছে তা সত্যি মনে পড়ে না। এর মাঝেই রবিবার নাচের স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে পথে নামলেন মমতা শঙ্কর। এদিন কসবায় উদয়ন কলাকেন্দ্রের ছাত্রছাত্রীরা একজোট হয়ে প্রতিবাদে গলা মেলালো।
তদন্তে যত দেরি হবে বিচারে তত সমস্যা হবে। আশঙ্কা প্রকাশ পেল মমতার গলায়। মমতা শঙ্কর এদিন মিডিয়ার ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে বলেন, 'যেই দাবি সবাই তুলছে, সেই দাবি আমরাও তুলছি এই ঘটনার সঠিক বিচার হোক। কোর্টে উঠলে তো শুনানি হবে, বিচার কবে সেটা কেউ জানে না। আমার আর্জি সেই সময় যারা ছিল, তাঁদেরকে প্রথমে আটক করা হল না কেন? জায়গাটা সিল করা হল না কেন? সেখানে যেন কোনওরকম প্রমাণ লোপাট না হতে পারে! মেয়েটি যে যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে গেছে তারাও (দোষী) যায়'।
বরাবরই সোজা কথা সোজাভাবে বলতে ভালোবাসেন মমতা শঙ্কর। মাস কয়েক আগে শাড়ির আঁচল নিয়ে মন্তব্য করে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিলেন এই প্রখ্যাত অভিনেত্রী তথা নৃত্যশিল্পী। কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। ড়ির আঁচল নামিয়ে পরা মেয়েদের কটাক্ষ করতে গিয়ে তিনি ব্যবহার করে ফেলেছিলেন ‘রাস্তার মেয়ে’, ‘ল্যাম্পপোস্টের নীচে দাঁড়ানো মেয়ে’-র মতো কিছু শব্দবন্ধ। আর তারপর থেকেই ক্রমাগত ট্রোলিং শুরু হয় তাঁকে নিয়ে। এমনকী, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ও দু-চার কথা শোনাতে ছাড়েননি তাঁকে। তবে সে-সব এখন অতীত।
টলিপাড়ার বাকি সকলের মতোই আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সুর চড়ালেন মমতা। ওদিকে আরজি কর মামলার জট খুলতে আপতত পলিগ্রাফ টেস্টে ভরসা রাখছে সিবিআই। রবিবার চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্ট করতে প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছেছে সিবিআই। সঞ্জয় রায়, সন্দীপ ঘোষ-সহ সাতজনের পলিগ্রাফ টেস্ট হবে। অনুমতি দিয়েছে শিয়ালদা কোর্ট।