দুজনেই বাঙালির আইকন। বাংলা সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছেন তাঁরা। অথচ ভাবতে অবাক লাগলেও আজ পর্যন্ত কখনও বড় পর্দায় একসঙ্গে জুটি বাঁধেননি মমতা শঙ্কর ও ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কাজটাই এবার করে দেখালেন পরিচালক অরিন্দম ভট্টাচার্য। যদিও এই ছবিতে পরিচালকের আসনে থাকছেন না তিনি। এখনও ঠিক হয়নি ছবির নাম।
পরিচালকের শেষ রিলিজ ‘শিবপুর’ নিয়ে কম বিতর্ক দানা বাঁধেনি। ছবির এক প্রযোজকের বিরুদ্ধে অশ্লীলতার অভিযোগ তোলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। সেই নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। এরপর অরিন্দম শপথ নিয়েছিলেন আর বাংলা ছবি করবেন না। বরং মুম্বইয়ে গিয়ে কাজ করবেন। কিন্তু বাংলা ছবি প্রযোজনা করবেন না, এমন কথা বলেননি। মমতা শঙ্কর ও ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে যে ছবি প্রযোজনা করতে চলেছেন তিনি, সেখানে পরিচালকের ভূমিকায় থাকবেন তাঁর সহকারী পরিচালক অভিজিৎ চৌধুরী। যাঁকে টলিপাড়া চেনে বাপ্তান নামে।
অরিন্দমের কথায় এই ছবিতে মুখ্য় চরিত্রের চেহারায় আভিজাত্যের ছাপ প্রয়োজন ছিল। সেই বনেদিয়ানা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পর একমাত্র ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যেই খুঁজে পেয়েছেন তিনি। সেই কথা ভেবেই কাস্টিং। জুটি হিসাবে মমতা শঙ্কর এবং ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা আগে কখনও কেউ ভাবেনি, তা খানিক অবাক করেছে অরিন্দমকে।
অরিন্দমের ছবি মানেই তার পরতে পরতে থাকে রহস্য-রোমাঞ্চ। এবার অবশ্য ছক ভাঙছেন। পরিচালকের টুপি যেহেতু অভিজিৎ-এর মাথায়, তাই হয়ত স্বাদ বদল। এই ছবির কেন্দ্রে প্রেম, সম্পর্কের টানাপোড়েন। মমতা শঙ্করকে শেষ বড় পর্দায় দেখা গিয়েছে বিজয়ার পরে ছবিতে। অন্য়দিকে গত বছর পুজোয় উইন্ডোজের রক্তবীজে ধরা দিয়েছিলেন ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলা ছবি থেকে দীর্ঘদিনই দূরে অভিনেতা। মৌসুরীতে থাকেন। পাহাড় তাঁর প্রেম। সেই সূত্র ধরেই অরিন্দম ভট্টাচার্য ঠিক করেছেন উত্তরাখন্ডেই ছবির শ্যুটিং করবেন। ছবির কাস্টিং নিয়ে মমতা শঙ্কর ও ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। চিত্রনাট্য মেনে নতুন প্রজন্মের অভিনেতাদের কাস্টিং এখনও চূড়ান্ত নয়। আগামি বছরেই শ্যুটিং শুরু হবে এই ছবির।