স্বামী প্রশান্ত মোতওয়ানির ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ আনলেন 'মাতা কি চৌকি' খ্যাত অভিনেত্রী মুসকান ন্যান্সি জেমস। একই অভিযোগে অভিযুক্ত মুসকানের শাশুড়ি মোনা মোতওয়ানি ও ননদ, অভিনেত্রী হংসিকা মোতওয়ানি। সমত্তি নিয়ে প্রতারণা সহ একাধিক অভিযোগ এনেছেন মুসকান।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে মুম্বইয়ের আম্বোলি থানায় ৪৯৮-এ, ৩২৩, ৫০৪, ৫০৬ ও ৩৪ নম্বর ধারায় একটি এফআইআর দায়ের করেন মুসকান
এফআইআরে মুসকান অভিযোগ করেন, তাঁর শাশুড়ি ও ননদ তাঁর বিয়েতে অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ করেছেন, যার কারণে স্বামীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। এছাড়াও মুসকান তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ এনেছেন। তাঁর দাবি অতিরিক্ত মানসিক নির্যাতনের কারণে বেল পালসিতে আক্রান্ত তিনি। এই রোগের কারণে তাঁর ফেসিয়াল প্যারালাইসিসও হয়ে গিয়েছে।
মুসকানের আরও অভিযোগ, তাঁর স্বামী, শাশুড়ি, ননদ তাঁর থেকে দামি উপহার, টাকা দাবি করার পাশাপাশি সম্পত্তি নিয়ে প্রতারণাও করেন। sf FIR দায়ের করার কথা মুসকান ন্যান্সি জেমস ইটাইমসকে নিশ্চিতও করেছেন। তাঁর কথায়,, ‘হ্যাঁ আমি এই FIR দায়ের করেছি এবং আমি এখন আইনি সহায়তা চেয়েছি। এই মুহুর্তে, আমি এবিষয়ে আর কিছুই জানাতে পারব না, যেহেতু মামলা চলছে।’
মুসকান ও তার স্বামী প্রশান্ত মোতওয়ানি ২০২০ সালে বিয়ে করেন, তবে ২০২২এ তাঁরা আলাদা হয়ে যান। গত দুই বছর ধরে তাঁরা আলাদা থাকছেন। প্রশান্ত ও হাংসিকা এখনও FIR নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি।
আরও পড়ুন-সিগনালে আটকে 'কিশোরী', ইধিকাকে দেখে কী করল খুদে অনুরাগী? দেবের নায়িকা তখন…
মুসকান ন্যান্সি জেমস
প্রসঙ্গত মুসকান ন্যান্সি জেমন একজন জনপ্রিয় টেলি অভিনেত্রী, যিনি ‘থোড়ি খুশি থোড়ে গম’ সিরিয়ালের হাত ধরে কেরিয়ার শুরু করেন। এরপর তিনি ‘মাতা কি চৌকি’ সিরিয়ালে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পান। এরপর ‘কোড রেড’, ‘ভারত কা বীর পুত্র - মহারাণা প্রতাপ’, ‘এজেন্ট রাঘব’ - ‘ক্রাইম ব্রাঞ্চ’ সহ আরও অনেক টেলিভিশন শোতে কাজ করেছেন মুসকান।
২০২২ সালের নভেম্বরে, মুসকান জানিয়েছিলেন তিনি বেল পালসিতে আক্রান্ত। তিনি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লেখেন, 'জীবন অনিশ্চিত এবং বিস্ময়ে পূর্ণ... কেউ কেউ ভাবছেন আমি কোথায়! অনেকেই ধরে নিয়েছেন যে আমি হয়ত ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দিয়েছি। তবে অনেকে জানেন যে আমি কীভাবে কাটাচ্ছি। আমার বেল পালসি (ফেসিয়াল প্যারালাইসিস) নামে একটা রোগ ধরা পড়ে। এটা প্রচুর চাপ এবং মানসিক ট্রমার কারণে হয়ে থাকে। আমি আপাতত ৭০ শতাংশ সুস্থ হয়ে আবারও ফিরে এসেছি। গত কয়েক মাস আমি ও আমার বাবা-মা খুব চাপের মধ্যে ছিলেন। এমন ফোলা মুখ আর অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে থাকা একজন শিল্পী কাছে কতটা কষ্টকর বলে বোঝাতে পারব না।