একটি সিঙ্গল পাইলন কেবিল–সহ রোড ওভারব্রিজ তৈরি হতে চলেছে। হাওড়ায় এই রোড ওভারব্রিজ তৈরি হচ্ছে। কয়েক দশকের পুরনো হাওড়া ব্রিজের উপর যানবাহনের চাপ কমাতেই এই কাজ করা হচ্ছে। এই নয়া সেতুর সঙ্গেও যুক্ত করে দেওয়া হবে হাওড়া স্টেশন থেকে শুরু করে জিটি রোড। যা এখন হাওড়া ব্রিজের সঙ্গে যুক্ত। এখন বেড়ে গিয়েছে যানবাহন চলাচল। তার ফলে যানজট তৈরি হয় হাওড়া ব্রিজে। আর এই নতুন লোহার ডেক ব্রিজ ভারতে দ্বিতীয়। মুম্বইয়ে অটল সেতুর পর এই সলিড স্টিল প্লেট ডেক ব্রিজ হাওড়ায় গড়ে উঠছে।
এটাকে অনেকে চাঁদমারি ব্রিজ বলে থাকে। কেবল টাইপ এই ব্রিজ তৈরি করছে পূর্ব রেল। খরচ হবে ২০০ কোটি টাকা। এই সেতুর দৈর্ঘ্য ৬০ মিটার থেকে বেড়ে হচ্ছে ১৩৪ মিটার। পুরনো সেতুর জায়গায় তৈরি হচ্ছে চার লেনের কেবল টাইপ ব্রিজ। তাইওয়ানের সংস্থা উইকন এই সেতুর নকশা তৈরি করেছে। আর এই সেই গড়ে তুলছে এসপি সিংলা কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড। হাওড়া স্টেশন থেকে ২০০ মিটার দূরত্বে তৈরি হচ্ছে এই নয়া সেতু। ফলে দ্রুত হাওড়া স্টেশনে পৌঁছতে পারবেন যাত্রীরা। এখন যানজটের কারণে দেরি হয়ে যায়। এই সেতু গড়ে উঠলে তা আর হবে না।
আরও পড়ুন: রাজ্য সরকারের ‘উৎসশ্রী’ পোর্টালের অবস্থা কী? রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট
হাওড়া রেল স্টেশনের ওল্ড কমপ্লেক্সে কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম আরও লম্বা করা হবে। তার জেরে দূরপাল্লার অনেক ট্রেন সেই প্ল্যাটফর্ম সংলগ্ন লাইন দিয়ে যাতায়াত করবে। আর প্ল্যাটফর্ম নম্বর ১, ৭, ১০, ১১, ১২, ১৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য বাড়ানো হবে। ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে ১৫ এবং ২৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম নির্মাণ করা হচ্ছে যাত্রীদের সুবিধার জন্য। পুরনো সিগন্যালিং সিস্টেমের পরিবর্তে ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেম তৈরির সুযোগ থাকছে। হাওড়া স্টেশনের কাছে রেললাইনের উপর ১৯৩৩ সালে গড়ে উঠেছিল চাঁদমারি ব্রিজ। এই ব্রিজের উপর দিয়ে গিয়েছে হাওড়া ময়দান থেকে বালির দিকে যাওয়া জিটি রোড। তাই নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে নতুন ব্রিজ তৈরি করা দরকার।
২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে নয়া ধাঁচের এই চাঁদমারি ব্রিজ যাত্রীদের সুবিধার জন্য উপহার দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। এই বিষয়ে হাওড়ার ডিভিশনাল ম্যানেজার সঞ্জীব কুমার বলেন, ‘২০১০–১১ সালে নতুন চাঁদমারি ব্রিজ তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ২০২৪ সাল থেকে ব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এই ব্রিজটি কেবল টাইপ চার লেনের ব্রিজ। এটি বানাতে সম্পূর্ণ প্রকল্পের জন্য খরচ হবে ২০০ কোটি টাকা। ৬০ মিটার চাঁদমারি ব্রিজ ১৯৩৩ সালে তৈরি হয়। যা বাংলাবাবু ব্রিজ বলে জনপ্রিয়। এটাই ১৩৪ মিটার দীর্ঘ সেতুতে পরিণত হবে। এই কেবল টাইপ চার লেনের ব্রিজ গড়ে উঠলে ১২টি ট্র্যাক এই সেতুর তলা দিয়ে যাবে।’