কদিন আগেই উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তখন সেখানকার মানুষজনদের বলেছিলেন, যে কোনও সমস্যায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে। যদি সমস্যা স্বাভাবিকভাবে না মেটে তাহলে তিনিই হয়ে উঠবেন মুশকিন আসান। তবে সেটা যে কথার কথা ছিল না তার প্রমাণ মিলল আবার। কৃষক বাজারে কাজ না পেয়ে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ হেল্পলাইন ফোন করেন কয়েকজন দিনমজুর। আর সেখানে জানান, তাঁদের বিস্তারিত সমস্যা। আর তাতেই হয়ে গেল সমাধান। যা ভাবেননি দিনমজুররা। এখন সমাধান হতেই আনন্দে চোখে জল এসেছে তাঁদের। তাই ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে এসে শিলিগুড়ির প্রশাসনিক সভা থেকে ঘোষণা করেন ৩ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা। যা দিয়ে তৈরি হবে কৃষক বাজার। ওই টাকাতেই ধূপগুড়ি কৃষক বাজারে হতে চলেছে অত্যাধুনিক অনিয়ন হাব। ধূপগুড়ি এলাকার ঝুমুর অঞ্চলের কাছে জাতীয় সড়কের ধারে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তিন বিঘা জমির উপর তৈরি করেছে কৃষক বাজার। যেখানে রয়েছে পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা, ৫টি শৌচালয়, উচ্চক্ষমতার একাধিক সোলার পথবাতি। কৃষকদের মাথার উপর বড় বড় শেড। ফসল মজুত করবার জন্য গুদামঘর–সহ হয়েছে ২৬টি দোকান। সেখানে কাজ মিলছিল না দিনমজুরদের। তাই ফোন করা হয়। তাতেই মিলল সমাধান। ধানের বস্তা ওঠানো–নামানো কাজের জন্য কর্মসংস্থান হয় এলাকার ৩৬ জন দিনমজুরের।
আরও পড়ুন: জগন্নাথধামে বিদেশি ভক্তদের দল হাজির, রাশিয়া–ইউক্রেন থেকেও পর্যটকদের ঢল নামল
অন্যদিকে ওই জায়গাতেই শুরু হয় সরকারিভাবে ধান কেনাবেচার কাজ। ধানের বস্তা ওঠানো–নামানো কাজের জন্য কর্মসংস্থান হয় এলাকার ৩৬ জন দিনমজুরের। বেশ কয়েক বছর এই ধান কেনাকাটার কাজ চলার পর ধান ব্যবসায়ীদের অনুরোধে স্থগিত হয়ে যায় সেই কাজ। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কাজ না পেয়ে সমস্যার সম্মুখীন হন ঝুমুর এলাকার দিনমজুররা। এখানের বাসিন্দা দিনমজুর হামিদুল হক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে জানান বিষয়টা। আর তারপরই সমস্যার সমাধান হল।
এছাড়া শিলিগুড়ির হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে আয়োজিত প্রশাসনিক সভা থেকে ২০ মে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ধূপগুড়ি কৃষক বাজারের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৩ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা। স্বয়ংক্রিয় মেশিনের মাধ্যমে অনিয়ন হাব থেকে হবে ভাল খারাপ পেঁয়াজের বাছাই, খোসা ছাড়ানো এবং ছোট–বড় পেঁয়াজ ভাগ করে তা বস্তায় ভরে সেলাই করা। আর এই সব কাজটাই হবে কোনও মানুষের সাহায্য ছাড়া স্বয়ংক্রিয় মেশিনের দ্বারা। এই জায়গায় নানা বিভাগে কর্মসংস্থান হবে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ জনের। ব্যবসা থেকে শুরু করে এলাকার অর্থনীতি সম্পূর্ণ বদলে যাবে। মুখ্যমন্ত্রীর থেকে এই সুবিধা পেয়ে খুশি হামিদুল, বাবলুরা।